শিরোনাম
◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে ◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউরোপ-আমেরিকা যাবে দিনাজপুরের লিচু

ডেস্ক রিপোর্ট: দিনাজপুর পরিচিতি লাভ করেছে লিচুর রাজ্য হিসেবে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরই ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে লিচু চাষের জমির পরিমাণ। এখন সারাদেশে কম-বেশি চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। এখানকার লিচু সরবরাহ করা হয় গোটা দেশে। আর চলতি বছর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লিচু রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত লিচু চাষিরা।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর দিনাজপুর জেলার লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এবার পশ্চিমা বিশ্বে লিচু রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই জেলায় লিচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে কৃষি দপ্তর বাগানের মালিকদের পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা চলমান রেখেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লিচুগাছে মুকুল এসেছে। আশা করা হচ্ছে- বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ফলন ভালো হবে। চাষিরা লিচু গাছে সপ্তাহে একদিন পানি দিয়ে গাছের ভারসাম্য ঠিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভিটামিন ওষুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে মেশিন দিয়ে সপ্তাহে ২/৩ দিন লিচু গাছে স্প্রে করছেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাশিমপুর গ্রামের লিচু চাষি মশিউর রহমান জানান, সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই, মাদ্রাজি ও কাঁঠালি উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগানমালিক ও চাষিরা।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুরের প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনার লিচুগাছে মুকুল থেকে কুঁড়ি আসতে শুরু করেছে। মুকুল-গুটির সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁঝিঁ পোকার ঝিঁ-ঝিঁ শব্দে এখন এলাকা মুখরিত হচ্ছে।

ফুল আসা থেকে লিচু নামানো পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ১৫ দিন পর সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুল টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছেন। এ ছাড়াও মুকুল যাতে ঝড়ে না পড়ে, সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দেওয়া হচ্ছে।

চাষি মতিউর রহমান জানান, লিচুর ফুল আসার পর থেকেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। এরইমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা লিচু বাগান আগাম কিনে রাখছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন জানান, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কোন সময় কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত, সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়