শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউরোপ-আমেরিকা যাবে দিনাজপুরের লিচু

ডেস্ক রিপোর্ট: দিনাজপুর পরিচিতি লাভ করেছে লিচুর রাজ্য হিসেবে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতিবছরই ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে লিচু চাষের জমির পরিমাণ। এখন সারাদেশে কম-বেশি চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। এখানকার লিচু সরবরাহ করা হয় গোটা দেশে। আর চলতি বছর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লিচু রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত লিচু চাষিরা।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর দিনাজপুর জেলার লিচু দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এবার পশ্চিমা বিশ্বে লিচু রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই জেলায় লিচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবারও দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণ লিচুর ফলন হবে। সেই লক্ষ্য পূরণে কৃষি দপ্তর বাগানের মালিকদের পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা চলমান রেখেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লিচুগাছে মুকুল এসেছে। আশা করা হচ্ছে- বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ফলন ভালো হবে। চাষিরা লিচু গাছে সপ্তাহে একদিন পানি দিয়ে গাছের ভারসাম্য ঠিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভিটামিন ওষুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে মেশিন দিয়ে সপ্তাহে ২/৩ দিন লিচু গাছে স্প্রে করছেন।

দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাশিমপুর গ্রামের লিচু চাষি মশিউর রহমান জানান, সদর উপজেলার উল্লেখযোগ্য লিচুর মধ্যে চায়না থ্রি, বেদেনা, বোম্বাই, মাদ্রাজি ও কাঁঠালি উল্লেখয্যেগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগানমালিক ও চাষিরা।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনাজপুরের প্রতিটি বাড়ির বসতভিটায় বা আঙিনার লিচুগাছে মুকুল থেকে কুঁড়ি আসতে শুরু করেছে। মুকুল-গুটির সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঁঝিঁ পোকার ঝিঁ-ঝিঁ শব্দে এখন এলাকা মুখরিত হচ্ছে।

ফুল আসা থেকে লিচু নামানো পর্যন্ত ৩-৪ মাস লিচু বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফুল আসার ১৫ দিন আগে এবং ১৫ দিন পর সেচ দিতে হয়। সেই অনুযায়ী গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুল টিকিয়ে রাখতে লিচু চাষি ও ব্যবসায়ীরা স্প্রে করে চলছেন। এ ছাড়াও মুকুল যাতে ঝড়ে না পড়ে, সেজন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার দেওয়া হচ্ছে।

চাষি মতিউর রহমান জানান, লিচুর ফুল আসার পর থেকেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। এরইমধ্যে রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা লিচু বাগান আগাম কিনে রাখছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন জানান, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কোন সময় কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত, সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়