মো. ইউসুফ মিয়া : [২] সদর উপজেলার চর বাগমারা গ্রামে এক গৃহবধূকে (৩৮) কবিরাজ ঝাড়-ফুঁক করার কথা বলে বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
[৩] বৃহষ্পতিবার ১৫ ই এপ্রিল বিকেলে ধর্ষনের অভিযোগে এক কবিরাজ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ।
[৪] থানায় মামলা দায়েরের পর চার ঘণ্টার মধ্যেই কবিরাজ মান্নান গায়েন (৫২) ও তার সহযোগী ফারুক বিশ্বাস (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী থানা পুলিশ।
[৫] মান্নান গায়েন রাজবাড়ী সদর উপজেলার রায়নগর গ্রামের মৃত মোহন গায়েন এর ছেলে ও ফারুক বিশ্বাস চর বাগমারা গ্রামের মৃত মনসুর বিশ্বাসের ছেলে।এই ভন্ড কবিরাজ এলাকার মানুষদেরকে বলেন আমি বহু মানুষের চিকিৎসা করে সুস্থ্য করেছি এটা শুনে সহজ সরল বেশীর ভাগ মহিলাদের টার্গেট করে ভন্ড প্রকারক কবিরাজ।
[৬] সদর থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার যানান, গত ৮ই এপ্রিল ওই গৃহবধূর শরীরে ব্যথা অনুভব হলে তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের থেকে ঔষধ খান।
[৭] এতে তার শরীরের ব্যথা ভালো না হলে, ১২ই এপ্রিল ওই গৃহবধূর মা, মান্নান কবিরাজকে বাড়িতে ডেকে আনেন। ভন্ড কবিরাজ মান্নান বলে যে কঠিন বাতাস লেগেছে সেই জন্যই পুরা শরীর ব্যাথা একটু ঝাড়-ফুঁক করে ভন্ড লম্পট কবিরাজ বলে যে ওই গৃহবধূকে রাতের বেলায় তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে ঝাড়-ফুঁক করলে দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে সড়ল মনে ওই গৃহবধূ সুস্থ্য হবে ।
[৮] পরের দিন ১৩ই এপ্রিল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আবারো গৃহবধূ সেই প্রতারক ও ভন্ড কবিরাজ মান্নান ফকির ও তার সহযোগী ফারুক ওই গৃহবধূকে ঝাড়ফুঁক করার কথা বলে বাড়ীর পাশে একটি বিলের মধ্যে নিয়ে যায় সেখানে ঝাড়ফুক না গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। দুই ভন্ড প্রতারক কবিরাজ পালিয়ে গেলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
[৯] পরে এ ঘটনায় বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/ ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন মামলা দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যেই আসামি ভন্ড কবিরাজ মান্নান ও তার সহযোগী ফারুককে গ্রেফতার করেছি।
[১০] ওই এলাকার জনতা বলেন, যে কবিরাজের নামে যারা এই সমস্ত যঘন্য কজে লিপ্ত থাকে তাদেরকে এমন শাস্তি হওয়া দরকার জীবনে কোনদিন এই নোংড়ামী কাজে লিপ্ত না থাকে। সম্পাদনা : জেরিন