শিরোনাম
◈ রিটার্ন না দেওয়া টিআইএনধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ ◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ: রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ঝুঁকি বেড়েছে স্থানীয়দেরও

নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সার্বিক ঝুঁকির মাত্রা এযাবত্কালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় সম্প্রদায়েরও সার্বিক ঝুঁকি বেড়েছে। ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে জাতিসংঘ।

বিশ্বসংস্থার খাদ্য সহায়তা সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গা শিবিরের ৯৬ শতাংশ বাসিন্দা এখন মাঝারি থেকে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে আছে।

তারা এখন পুরোপুরি মানবিক সহায়তানির্ভর হয়ে পড়েছে। আর ২০১৯ সালে স্থানীয় বাসিন্দাদের ৪১ শতাংশই মাঝারি থেকে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে ছিল। ২০২০ সালে তা বেড়ে

৫১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

এর মাধ্যমে দেখা যায় যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বেড়েছে। কভিড-১৯-এর সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি-নিষেধ বা ‘লকডাউনের’ বিরূপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় শ্রমজীবীদের ওপর। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ নেই। কভিড মহামারির কারণে তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের ওপরও প্রভাব পড়েছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী—উভয়েরই খাবার গ্রহণ কমেছে। গ্রহণযোগ্য নয় এমন খাবার গ্রহণের হার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এই হার ২১ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে।

ডাব্লিউএফপির সমীক্ষায় দেখা গেছে, কভিড-১৯ ‘লকডাউনের’ কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। লোকজনের আয় কমে গেছে। এর ফলে তাদের বাজার থেকে খাদ্যপণ্য কেনার ক্ষমতাও কমেছে।

রোহিঙ্গা পরিবারগুলো তাদের মাসের বাজেটের ৭৭ শতাংশ ব্যয় করে খাবারের পেছনে। বিদ্যমান মানবিক সহায়তা সত্ত্বেও ৪৯ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার খাবারের জন্য ন্যূনতম খরচটুকুও করতে পারে না। ২০১৯ সালের তুলনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে ৩ শতাংশ আর তাদের আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অর্থনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে ৭ শতাংশ।

ডাব্লিউএফপির সমীক্ষায় দেখা গেছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে ৯৬ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার এখন ন্যূনতম খাবারের চেয়ে কম পাচ্ছে। এটি তাদের ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীলতার বহিঃপ্রকাশ।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের এক-তৃতীয়াংশ তাদের বর্তমান চাহিদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ৩৬ শতাংশের কাছে ভবিষ্যতে জরুরি প্রয়োজনে খরচ করার মতো কোনো অর্থ নেই।

রোহিঙ্গা শিবিরে প্রধান তিনটি আয়ের একটি হলো—সহায়তা হিসেবে পাওয়া পণ্যসামগ্রী বিক্রি ও বন্ধু-স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ ধার করা। রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর মাসিক আয় গড়ে স্থানীয় লোকজনের চেয়ে ৭৫ শতাংশ কম। ডাব্লিউএফপির সমীক্ষায় দেখা গেছে, খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ই-ভাউচার চালুর ফলে রোহিঙ্গাদের খাদ্যসামগ্রী বিক্রির হার কমেছে। -কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়