শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৫ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ১১:২৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নানান সমস্যায় জর্জরিত নোয়াখালী করোনা হাসপাতাল

মাহবুবুর রহমান: নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে জেলা শহিদভুলু স্টেডিয়ামের ইনডোরে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১২০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। শুরু থেকে ঔষধ সামগ্রী সহ নিয়মিত অক্সিজেন সরবারাহ থাকলেও করোনা সংক্রামক কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দ্বিতীয় দফায় মার্চ মাসে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। ফলে ১২০ শয্যার কোভিড-১৯ হাসপাতাল আসা করোনা আক্রান্ত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । নেই প্রয়োজনীয় ঔষধ, অক্সিজেন, বিদ্যুত ও নিরাপদ পানির। আবার দক্ষ জনবলের অভাবে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন আইসিউ থেকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য করোনা রোগীরা ঘোরাঘুরি করছে লোকালয়ে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াপখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে ১২০ বেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার এক বছর পার হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হাসপাতালটি। হাসপাতাল গেইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীরা যখন-তখন ঔষধ, পানিসহ প্রয়োজনী সামগ্রী কেনার জন্য মিশে যাচ্ছে সাধারন মানুষের সাথে। সংক্রমনের ভয়ে ক্ষুব্ধ দোকানদার ও এলাকাবাসী।

জানা যায়, গেল বছর করোনা মহামারির সময় সরকারীভাবে ঔষধ সরবরাহ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকলেও এ বছর তা নেই। সংকট রয়েছে নিরাপদ পানি ও বিদ্যুতের জেলায় সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য নেই আইসিউ সুবিধা। দক্ষ জনবল ও স্থাপনার অভাবে অব্যবহৃত পড়ে আছে ২টি ভেন্টিলেটর।
নাম প্রকাশে একজন জানান, আমার ভাইকে করণা আক্রান্ত হলে এখানে নিয়ে আসার পর অক্সিজেন স্থাপনের জন্য আমাদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা চাওয়া হয় অথচ এই জন্য টাকা নেওয়ার কোনো ধরনের নিয়ম নেই আমরা জেনেছি।

আরেক রোগী জানান, আমার আমার আত্মীয় কে আমার প্রত্যেকে আমরা হাসপাতাল থেকে কোন ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এখনও পর্যন্ত পাইনি তবে আসার পর থেকে আমাদেরকে মাত্র দুইটি মাক্স প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোভিট-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আপনারা যে সমস্যাগুলো কথা বলছেন আমরা ইতিমধ্যেই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও পানির বিষয়ে আমারা কাজ করছি আর আইসিইউ এর জন্য দক্ষ জনবলের বিষয় ট্রেনিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে তারা আসলেই অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়