শাহীন খন্দকার: [২] হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন আরো জানালেন,আগামী রোববার মহাখালী হাসপাতালটির উদ্বোধন করবেন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এখানে ২৫০ শয্যার করোনা এসডিও শয্যাসহ ৫০টি ইমার্জেন্সি শয্যা, ৪৫০ জেনারেল ওর্য়াড, ১০০ আইসিইউ এবং ১১২টি এইচডিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে ৫০০ শয্যায়। থাকছে ল্যাবরেটরী,সিটিস্ক্যান, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, আরটিপিসিআরসহ জিনএক্সপাট মেশিন।
[৩] তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের (ছয় তলা) এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে এই হাসপাতাল চালু করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হবে।
[৪] এর মধ্যে দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হয়েছে জরুরি বিভাগ। এই বিভাগে ৫০টি শয্যা রয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার দোকানগুলোতে দুটি করে শয্যা বসানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিটি ফ্লোরের ফাঁকা জায়গায় কাঁচ দিয়ে বড় একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এই কক্ষটিতে ২৫টি শয্যা রয়েছে। এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[৫] এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে ১০০ চিকিৎসক ও ১৫০ নার্স কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা পর্যায়ক্রমে কাজে যোগ দেবেন। তবে হাসপাতালটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
[৬] ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ১৭ এপ্রিল হাসপাতালটি উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু কিছু কাজ বাকি থাকায় রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হবে।
[৭] ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, এখানে কোনো অপারেশন করা হবে না। অনেক করোনা রোগীর ডায়ালাইসিস করা লাগে, তাদের জন্য আইসিইউ বিভাগে চারটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।