সুজন কৈরী: [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালে পেশাগত দায়িত্বে বের হওয়া গণমাধ্যমকর্মীদেরও মামলা ও জরিমানা করছে পুলিশ। যদিও পেশাগত দায়িত্বের কারণে জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীরাও চলমান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রয়েছেন। এরপরও নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে কেন সাংবাদিকদের মামলা বা জরিমানা করছে পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
[৩] বিধিনিষেধের প্রথম দিন বুধবার দৈনিক মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদকে মামলা দেয় পুলিশ। পেশাগত কাজে বের হয়ে মামলা হওয়ার বিষয়টি তিনি তার ফেসুবক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন।
[৪] জীবন আহমেদ তার পোস্টে লেখেন, ‘বুঝলাম না ডাক্তার ও সাংবাদিকদের গাড়িতে কেনো পুলিশ মামলা দিচ্ছে, এগুলো তো জরুরি সেবা। আমাকেও চার হাজার টাকার মামলা দিল। আমি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ছবি তুলতে আগারগাঁওয়ে পুলিশের চেকপোস্টের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। ক্যামেরা বের করার আগেই আমাকে চার হাজার টাকার মামলা ধরিয়ে দেওয়া হলো।’
[৫] এদিকে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ রিপন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিজের মোবাইলে ধারণ করার সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা তার ফোনটি নিয়ে নেন।
[৬] সাঈদ রিপন বলেন, আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। এমন সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে কিছু না বলে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। যদিও পরে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
[৭] এদিকে গত দুই দিন ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শাহবাগ ও জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় আরও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী এমন হয়রানি শিকার হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরি সেবা ও সাংবাদিকদের যে মুভমেন্ট পাস লাগে না সে বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই জানেন না। তাই তারা এমন আচরণ করছেন। তাদের পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ বিষয়ে আরও সঠিক ও পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া দরকার বলে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা মনে করেন।
[৮] এছাড়া গত দুইদিনে জরুরি চিকিৎসা সেবায় বের হওয়া চিকিৎসকদেরও বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :