লিহান লিমা: [২] মঙ্গলবার মিয়ানমারে শুরু হওয়া বার্মিজ নববর্ষের (থিনগিয়ান) প্রথম দিন রাজপথ ছিলো প্রায় জনশূন্য। বিক্ষোভকারীরা সেনাশাসনের প্রতিবাদে নতুন বছরের উৎসব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শোয়ে ই নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘৭’শর বেশি সাহসী প্রাণকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা এ বছর থিনগিয়াং পালন করবো না।’ এশিয়া টাইমস, আল জাজিরা
[৩] সাধারণত ৫দিন ব্যাপী এই উৎসব দেশটির নাগরিকরা প্রার্থনা, বর্ণিল শোভাযাত্রা, রঙিন পোশাক, জলকেলি ও বৌদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নারীরা থিনগিয়াংয়ের অন্যতম একটি ঐতিহ্য ভরা কলসির মুখে ফুল-পাতা রেখে সেনাশাসন বিরোধী তিন আঙ্গুল চিহ্ন উঠিয়ে শোভাযাত্রা করেন। কয়েকটি স্থানে নববর্ষের কলসিতে লেখা ছিলো ‘মিয়ানমারকে রক্ষা কর’, ‘ক্ষমতার মালিক জনগণ।’
[৪] জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি সিরিয়ার মতো গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’ সংস্থাটির প্রধান মিশেল বেখলেট বেসামরিক জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড বন্ধে জান্তা সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অতীতে সিরিয়া যে ভুল করেছিলো মিয়ানমারের সেই আত্মঘাতী ভুল করা উচিত হবে না।’
[৫] এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ৭১০জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে।
[৬] সাবেক এক সেনাসদস্যের উদ্বৃৃতি দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস বলেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রায় এক তৃতীয়াংশই বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিন্তু তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাতে ভয় পাচ্ছে।