নিউজ ডেস্ক : বিষয়টি আমাদেরসময়ডটকমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক কাদের গণি চৌধুরী।
সোমবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার রাতে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বাদ ফজর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে। প্রথম জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
তিনি ৩ ছেলে রেখে গেছেন। বড় ছেলে এস এম সাজেদুল হাসান (নাসিম) বুয়েট থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্র্যাজুয়েশন করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একই বিষয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন। ড. নাসিম বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিকের (জিই) সদরদপ্তর আলবিনিতে বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন।
মেজো ছেলে এস এম শামীমুল হাসান (আজিম) ঢাকার অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আই ইউ বি থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। ড. আজিম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসিতে অবস্থিত সে দেশের অন্যতম বৃহৎ কম্পিউটার ল্যাব ওক রিজ (ঙঅক জরফমব)-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত আছেন। তারা দু’জনই যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভার্জিনিয়াটেক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন।
ছোট ছেলে এস এম ফাহিম হাসান ঢাকার সরকারি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন।