ডেস্ক নিউজ: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে আজ সোমবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের (১৬) একই উপজেলার কুড়তলা গ্রামের প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। এ উপলক্ষে উভয় পক্ষের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।
বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন খবর জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) এ কে এম লুৎফর রহমান। পরে তিনি আজ দুপুরে পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বরপক্ষ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে মেয়ের বাবা-মাকে অবহিত করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে অঙ্গীকার করে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন মেয়ের বাবা-মা।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) এ কে এম লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বরপক্ষকে পাওয়া যায়নি।
মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন মেয়ের বাবা-মা। এ বিষয়ে মুচলেকায় স্বাক্ষর দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সূত্র: কালের কণ্ঠ