শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৫ দুপুর
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কবুতর পালনে শখ থেকে আর্থিক সচ্ছলতা

আশরাফ আহমেদ:[২] প্রাচীন যুগ থেকেই এদেশে সৌখিন মানুষের শখের অংশ ছিল কবুতর পালন । সেই কবুতর পালন নিয়ে ছিল নানান কাহিনী। কবুতরকে চিঠির বাহক হিসেবে প্রেরণ করা হতো। মানুষের বাড়িতে অতিথি আসলেই কবুতরের গোশত খাওয়ানোর রেওয়াজ ছিল। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে কবুতর চাষ করা হতো না।

[৩] কালের পরিক্রমায় কবুতর পালন লাভজনক হওয়ায় মানুষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছে কবুতর চাষ। কাজের ফাঁকে সময় করে কবুতরের খামার করা এক সময় ছিল শখ। কিন্তু এই শখ এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। কবুতর খামার করে এখন লাভবান হচ্ছেন অনেকেই। তাই শখের কবুতর খামার তৈরি এখন বাণিজ্যিক খামারের রূপ নিয়েছে।

[৪] এমনই চিত্র কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা অা ফ ম জহিরুল ইসলাম। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন সৌখিন কবুতরের খামার। এ খামার করে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি। তার সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। এতে বেশ খুশিও তিনি। তার এই খামার দেখে আগ্রহও প্রকাশ করছেন অনেকেই।

[৫] হোসেনপুর উপজেলা সদরের আনোয়ার স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম । ৪বছর আগে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে বাড়িতেই শুরু করেন কবুতর পালন। সেই কবুতর থেকে এখন একটি পূর্ণাঙ্গ খামার হয়েছে তার। দেশি-বিদেশিসহ ৬শ কবুতর রয়েছে তার খামারে।

[৬] ময়ুরী,সিরাজী,হুমার,শটপিছ,হেলমেট,ব্রনডীল,মুখী হলুদ,মুখীনীল,কিংসাদা,কিংহলুদ,আউল,জেকোবিং,গিরিবাজসহ দেশি জাতের বিভিন্ন কবুতর রয়েছে।

[৭] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় রাখা আছে এসব কবুতর। কবুতরের ডাকে মুখরিত পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই শোনা যায় কবুতরের ডাক। কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় রয়েছে সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় দেখা যাচ্ছে বেড়ে উঠা কবুতরের ছোট বাচ্চাগুলোকে। মা কবুতর নিজেদের খাবারের পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত।

[৮] জহিরুল জানান, খামারটি এখন বেশ লাভজনক।তিনি এ খামারে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কবুতরের খাবার সহ দৈনন্দিন খরচ ৮শটাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। যা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রীও ভাই মনসুর।

[৯] কবুতর নিয়ে জহিরুল জানান, প্রতিদিনের খাবারে গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি দেয়া হয় কবুতরকে। কবুতরের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখাটাই কঠিন হবে বলে জানান তিনি।

[১০] প্রতিবেশিসহ এলাকার বিভিন্নস্থান থেকে কবুতর প্রেমীরা দেখতে আসেন কবুতরের এই খামারকে। জহিরুল মুখে বাণিজ্যিক লাভের কথা শুনে অনেকে নিজেরাও খামার গড়ার ইচ্ছের কথা জানান।

[১১] উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বা:আ:মান্নান জানান, সৌখিন কবুতরের খামার অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এর মাধ্যমে যে কারও সংসারে সচ্ছলতা আসতে পারে। আগ্রহীদের খামার গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরামর্শসহ সব সহযোগিতা দেবে প্রাণীসম্পদ বিভাগ।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়