কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালী দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সভাপতিত্ব করেন। এতে সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা অংশ নেন।
[৩] সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ডি-৮ এর চেয়ার হস্তান্তর করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
[৪] এ সময় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
[৫] সম্মেলনে ব্যবসা-বাণিজ্য, দক্ষতা উন্নয়নের যুবশক্তিকে কাজে লাগানো, তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভবনার পূর্ণ ব্যবহার, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত কাঠামো তৈরি, কানেকটিভিটি ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৬] তিনি বলেন, ব্যবসায়িক ধারণা, মডেল, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি থেকে বেসরকারি পর্যায়েও ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে যুবকদের একত্রিত হতে উৎসাহিত করা যেতে পারে।
[৭] চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে কার্যকরী পার্টনারশিপ এবং বৃহত্তর সহযোগিতা প্রয়োজন।
[৮] ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া আরো সহজ হওয়া উচিত।
[৯] কার্যকরী এবং টেকসই উন্নয়নে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু ইস্যুতে সহযোগিতা করার করার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
[১০] রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এখনো শুরু হয়নি। এই সমস্যা বাংলাদেশের পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
[১১] এই সংকটের সমাধান না হলে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমবি হয়ে দাঁড়াতে পারে।