এল আর বাদল: [২] সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন দলকে সাফল্য এনে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে দুম করে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোনও মানসিক প্রস্তুতি ছাড়াই। অথচ ভারতীয় দলের সাফল্য পাওয়ার ভিতটা কিন্তু শক্ত হাতে গড়ে দিয়েছিলেন বাংলার মহারাজই।
[৩] সেই ২০০৫ সালের কথা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই যন্ত্রণাটা এখনও বোধহয় সৌরভের মনে টাটকা। আসলে যে ভাবে সৌরভকে সরানো হয়েছিল, খারাপ লাগাটা সেখানেই রয়ে গিয়েছে। নিজের জীবনের সেই খারাপ অভিজ্ঞতার কথা মনে করতে গিয়েই সৌরভ বলছিলেন, জীবনের কোনও নিশ্চয়তা নেই।
[৪] আসলে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যখন দলকে সাফল্য এনে দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে দুম করে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল অধিনায়কের পদও। কোনও মানসিক প্রস্তুতি ছাড়াই। অথচ ভারতীয় দলের সাফল্য পাওয়ার ভিতটা কিন্তু শক্ত হাতে গড়ে দিয়েছিলেন বাংলার মহারাজই। [৫] যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজন সিং, জাহির খানরা তো সৌরভের হাত ধরেই ভারতীয় দলে ঢুকেছিলেন। যাদের ছাড়া ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না।
[৬] সৌরভ বলছিলেন, তুমি খেলাধুলার সঙ্গেই যুক্ত থাক, বা ব্যবসা করো অথবা অন্য যা কিছু করো, জীবনের কোনও নিশ্চয়তা নেই। জীবনে ওঠা নামা থাকবেই। দাঁতে দাঁত চেপে শুধু লড়াই করে যেতে হবে। সকলের জীবনেই অসম্ভব চাপ রয়েছে। সেই চাপটা হয়তো আলাদা আলাদা রকমের। এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, তুমি যখন প্রথম টেস্টে খেলবে, তখন নিজেকে প্রমাণ করার, প্রতিষ্ঠা করার চাপ থাকবে। কিন্তু তুমি যখন অনেকগুলি টেস্ট খেলে ফেলেছো, একটা উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছো, তখন সেই জায়গাটা ধরে রাখার, নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার অসম্ভব চাপ থাকবে।
[৭] নিজের জীবনে নানা ওঠা-পড়া, লড়াই, আবার ঘুরে দাঁড়ানো, এই সব কিছুরই সাক্ষী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (গাঙ্গুলি)। খুব কাছ থেকেই এগুলোকে তিনি দেখেছেন। তাই বোধহয় জীবন সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে মহারাজের। - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস/ হিন্দুস্তানটাইমস