মনজুর অনিক:[২] বুকের মানিক বুকে নিয়ে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে মা। ঘুম ভাঙ্গবেনা আর কখনো। হাজার বার ডাকলেও আর একটি শব্দও বের হবে না আর কোনদিন। সেই মা নিজ শিশু সন্তানকে আকড়ে রেখেই চিরনিদ্রায় চলে গেলেন। এমননি এক মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীতে।
[৩] মা ও ছেলে একসাথে জড়িয়ে থাকাবস্থায় একটি জোড়া মরদেহ উদ্ধার করার পরপরই চিত্রপটে ভেসে উঠে মমতাময়ী এক মায়ের আত্মত্যাগ। শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবিতে উদ্ধার হওয়া মা সন্তানের এ দৃশ্য দেখে কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না।
[৪] কাঁদলেন উদ্ধাকারী কর্মী থেকে শুরু করে মিডিয়া কর্মীরা। কোলের সন্তানকে আকড়ে ধরে ইহকাল ত্যাগ করা এ মায়ের প্রতি রইলো লাল সালাম। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থণা রইলো, হে আল্লাহ মা ও সন্তানকে তুমি বেহেস্তের শ্রেষ্ঠতম স্থানে অধিষ্ঠিত করো। নিহত মা ও ছেলে মুন্সিগঞ্জের চর অঞ্চলের বাসিন্দা।
[৫] উল্লেখ্য,গত রবিবার সন্ধ্যায় একটি কার্গো জাহাজ মুন্সীগঞ্জমূখী যাত্রীবাহি এমএল সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চ ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। লঞ্চ থেকে সাতরিয়ে কেউ কেউ উঠতে পারলেও অনেকেই লঞ্চের সাথেই গভীর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।
[৬] ওই লঞ্চে প্রায় অর্ধশতাধিক জন যাত্রী ছিল। ৩০টি উদ্ধারকৃত লাশের সারিতে রয়েছে এ মা ও শিশু সন্তান। তবে এদের মধ্যে মা ও ছেলের এমন হৃদয় বিদারক মরদেহ দু’টি উদ্ধারের পর বেশ কাঁদলেন উদ্ধার কর্মীরা।
[৭] বললেন, মায়ের এক ধার ধুধের দাম কাটিয়া গতরের চাম, পাপোস বানাইলেও শোধ হবে না। এমন দরদী ভবে আর পাব না আমার মা মাগো। জীবনে অনেক লাশউ উদ্ধার করেছেন কিন্তু মমতাময়ী এ মায়ের আত্ম বলিদান কোন দিন ভুলতে পারবো না।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন