অহিদ মুকুল: [২] নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন।
[৩] সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া এলাকায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] আহতরা হলেন- ফখরুল ইসলাম রাহাতের অনুসারী সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নূর রহমান রাহিম (২৭), ছাত্রলীগ নেতা করিম উদ্দিন শাকিল (২৩), রাকিব (২৭) ও মির্জা কাদেরের অনুসারী রাসেল (৩২)।
[৫] পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন থেকে উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে সোমবার (৫ এপ্রিল) কাদের মির্জার অনুসারী রাসেল উপজেলা ফখরুলের অনুসারী শাকিল ও রাহীমের ওপর পৌরসভার করালিয়া এলাকার চক্ষু হাসপাতালের সামনে হামলা চালায়। এই সময় রাহিম-শাকিল প্রতিরোধ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হন।
[৬] জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, ‘সংঘর্ষ শেষে মির্জা কাদেরের অনুসারী সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী পৌরসভা কার্যালয় থেকে গিয়ে ছাত্রলীগ-কর্মী শাকিলের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে।
[৭] এ বিষয়ে কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার এক অনুসারী ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘তিনি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারবেন না।
[৮] ওসি বলেন, ‘দলীয় কোন্দলের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মির্জা কাদেরের অনুসারী একজন এবং ফখরুলের অনুসারী ৩ জন আহত হয়েছেন। ফখরুলের অনুসারী ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মির্জা কাদেরের অনুসারী রাসেলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :