সুজিৎ নন্দী: [২] লকডাউন নিশ্চিতকরণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় সোমবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। মাছের বাজার, কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযানকালে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সচেতন করা হয় এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়। নিয়ম ভঙ্গের অপরাধে ৩ জনকে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও, রাস্তার চলাচলরত জনগণকে মাস্ক সঠিকভাবে পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সতর্ক করা হয়।
[৩] মহাখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা নেতৃত্বে গুলশান-১, ২ এবং কাঁচাবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে উপস্থিত সবাইকে সচেতন করে।
[৪] কারওয়ান বাজার অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তার নেতৃত্বে বাজারের প্রধান সড়ক হতে সকল অবৈধ ভাসমান দোকান অপসারণ করা হয়েছে। এসময় ২টি হোটেলের ভিতরে লোকজনকে খাবার পরিবেশনের অপরাধে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ১৮ জনকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
[৫] ১টি হার্ডওয়্যারের দোকান খোলা রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ফুটপাতে মালামাল রাখার জন্য ২ জনকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তায় পেঁয়াজ মজুদ করায় তা জব্দ করে ৪ হাজার ২শ’ টাকা নিলাম বিক্রি করা হয়েছে।
[৬] মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা নেতৃত্বে মিরপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টে নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে ১৫ টি মামলায় মোট ৩৭ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। নিকুঞ্জ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ৩টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
[৭] হরিরামপুর অঞ্চলের উত্তরা সেক্টর ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ এর সোনারগাঁও জনপদ এভিনিউ, শাহ মখদুম এভিনিউ, গাউসুল আজম এভিনিউ রোডসহ বিভিন্ন রোডে লকডাউন নিশ্চিতকরতে মাইকিং কোরে জনগণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানের বিষয়ে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক ও সচেতন করা হয়।
[৮] ভাটারা অঞ্চলের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৬টি মামলায় ১২ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রতিটি এলাকায় করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য জনগণকে সচেতন করা হয়। লকডাউন বাস্তবায়নে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।