সাদ্দাম হোসেন : [২] করোনা মহামারির কারণে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল,সভা সমাবেশ সরকারি ভাবে বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে জেলার সদর উপজেলা রুহিয়া থানায় ধর্মীয় সভার আয়োজন করেন সেখানকার মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি।
[৩] গত রোববার রাতে এমন সংবাদ পেয়ে অনুষ্ঠিত মাহফিল স্থান সালেহিয়া মাদ্রাসায় ছুটেযান সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) কামরুল হাসান সোহাগ।
[৪]আয়োজক কমিটির সঙ্গে সরকারের করোনা মোকাবিলায় ১৮দফা ও লকডাউনের বিধি-নিষেধ বিষয় সম্পর্কে কথা বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
[৫] পরে আয়োজক কমিটি ও উপস্থিত মুসুল্লিরা মাহফিল বন্ধ করার বিষয়টি মেনে নেয়। তবে আয়োজক কমিটির অনুরোধে প্রধানবক্তার মাধ্যমে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের জন্য ৫মিনিট সময় চাওয়া হলে নির্বাহীম্যাজিস্ট্রেট তা অনুমোদন দেন। পরে মোনাজাত শেষে মাহফিল সমাপ্তির ঘোষণা দেন আয়োজকরা।
[৬] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহাগ বলেন,করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে মাহফিল আয়োজন হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় মাহফিলের বিপুল সংখ্যক শ্রোতা ও আয়োজকদের অনুরোধ করা হলে তাঁরা ৫মিনিট সময় চেয়ে নেন। পরে কিছুক্ষণের মধ্যে শ্রোতা ও আয়োজকরা মাহফিলস্থান ত্যাগ করেন।
[৭] এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ১নং রুহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু। করোনামহামারির মধ্যে মাহফিল করার অনুমোতি ও অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু বলেন, মহানস্বাধীনতার মাস মার্চ থেকে সব কিছুই উম্মুক্ত ছিলও।
[৮] মাহফিল কমিটি ১মাস আগে অনুমোতি নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের সম্প্রতি লকডাউন ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পরেও কেনও মাহফিলের আয়োজন চলছিলও এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান সুনির্দিষ্ট কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
[৯] এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মাহফিল আয়োজক কমিটির সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :