আব্দুম মুনিব: [২] পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর স্বল্পমাত্রায় চালু হয়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত দেশের বড় সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)। শুক্রবার থেকে শূন্য থেকে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ভ্যান অ্যাঙ্গেল (পাম্প চালানো স্ইুচ) বাড়িয়ে ১০ শতাংশে দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
[৩] তিনি বলেন, ‘পদ্মায় পানি কিছুটা বাড়লেও পাম্প হাউসের ইনটেক চ্যানেলে এখনো ৪ দশমিক ২ মিটার আরএল (রিডিউসড লেভেল) পানি পাওয়া যাচ্ছে। ভ্যান অ্যাঙ্গেল ১০ শতাংশ দিয়ে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ডিসচার্জ চ্যানেলের পানি সরবরাহ ১২ দশমিক ২৫ থেকে বেড়ে ১৩ দশমিক ২৫ মিটার আরএল হয়েছে। ১৪ দশমিক ৫ মিটার আরএল হলে পূর্ণমাত্রায় সেচ সরবরাহ করা যায়। পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্যান অ্যাঙ্গেল বাড়ানো হবে।’
[৪] এই প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে পানি এনে চার জেলার কৃষকদের সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পদ্মায় পানি একেবারে কমে যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমিত আকারে পাম্প চালু হওয়ার খবরে আনন্দিত কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ধানে এখন থোড় আসার সময়, নিয়মিত পানি দিতে পারলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।’ জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প দুটি গত ১৫ ও ১৭ জানুয়ারি চালু করা হয়।
[৫] এই প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ভেড়ামারায় অবস্থিত এই পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, পাম্প দুটি একসঙ্গে সেকেন্ডে ১ হাজার ২০০ কিউসেক পানি সরবরাহ করতে সক্ষম। চালুর পর থেকে ১০ মাস এগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানোর কথা ছিল। কিন্তু পদ্মায় পানির লেভেল কমে আসায় ২৬ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে পাম্প দুটির সরবরাহ শূন্যে নেমে আসে। সম্পাদনা: সাদেক আলী