সোহাগ গাজী: [২] দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় শুরু থেকেই সাধারন মানুষের আগ্রহ নেই করোনা পরীক্ষায়। ফলে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে করোনা ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।
[৩] আর গ্রামের মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে মানুষের সচেতনতা আরো কম। মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৫ শত জন জনসংখ্যা নিয়ে বসবাস। জানাগেছে গত বছর শুরু থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলায় মাত্র ৮৭৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৯০ জন। আর এই উপজেলা করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন।
[৪] খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে উপজেলার অনেক বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-কাশিতে আক্রান্ত। তাদের বেশী ভাগেই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এভাবে ইতিমধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়েও উঠেছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহি-র্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় দেশের ফের করোনা আক্রানের সংখ্যাও বাড়ছে। এ জন্য ১৮ দফা নির্দেশনাও জারি করেছে সরকার।
[৫] এমন ভয়াভহ পরিস্থিতিতে করোনা নমুনা পরীক্ষা করছেন না কেউ। ফলে তাদের হোম-কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছেনা। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও। এমনকি করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। মাস্ক পড়লেও অনেকেই নাক-মুখের নিচে নামিয়ে রাখছেন। সামাজিক দুরত্ব দুরে ঠেলে গাদাগাদি করে উঠছেন অটো-রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনে । উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে থাকছে লোকে-লোকারণ্য। বিশ্বাসই করতে চান-না করোনা বলে কিছু আছে।
[৬] এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত ডা. মনিরুজ্জামান জানান , উপজেলায় শুরু থেকেই সাধারন মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করার আগ্রহ কম। প্রশাসন আবারো কঠোর হয়েছে করোনা সংক্রমন রোধে। প্রতিদিন সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানা রকম কার্যক্রম চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। সম্পাদনা: সাদেক আলী