তৌহিদুর রহমান:[২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের তিনদিনের তান্ডবের ঘটনায় জেলা পুলিশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষয়-ক্ষতির বিভিন্ন দিক উল্লেখ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তান্ডবের সময় কর্মকর্তাসহ শতাধিক পুলিশ আহত হয়।
[৩] প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবারের তান্ডবে পুলিশ সুুপার কার্যালয়ের ৪৩টি জানালার গ্লাস, প্রবেশ পথে কলাপসিবল গেইট, কন্ট্রোল রুমের সিসি ক্যামেরার মনিটর, দেয়াল ঘড়ি, টেবিলের গ্লাস, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ডিসএবি অফিসের এনআইডি সার্ভারের ফায়ার স্টেশন মেশিন।
[৪] কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, জেনারেটর, জেনারেটর রাখার ঘর, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সাইনবোর্ড, ফুলের বাগানের লাইট ও বৈদ্যুতিক স্ট্যান্ড, ট্রাফিক পুলিশের ভাস্কর্য, রিকুইজিশন করা দু’টি মাইক্রোবাস, একটি পাজেরো, ১৩টি মোটর সাইকেল, ২নং পুলিশ ফাঁড়ির চারটি সিসি টিভি ক্যামেরা, দু’টি সিলিং ফ্যান, ছয়টি মোটর সাইকেল, ৫২টি জানালার গ্লাস, চারটি দরজার থাই গ্লাস ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
[৫] রোববারের (২৮ মার্চ) এর হামলায় রিজার্ভ অফিসের দরজা ও জানালা, ১নং গেইটের সেন্ট্রি পোস্টের দরজা ও জানালা, পুলিশ লাইন্স গেইট ও বাউন্ডারির লাইট, মসজিদের জানালা, ক্যান্টিনের মালামাল ও সাটার, পুলিশ লাইন্স স্কুলের জানালা, সাইনবোর্ড, খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে পজ মেশিন, স্প্রিড গান, এলকোহল ডিটেক্টর, আরএফআই গান।
[৬] ক্যামেরা, ওয়ারলেস সেট, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ফটোকপি মেশিন, জেনারেটর, ইউপিএস, ফ্রিজ, টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরা, মনিটর, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর, টেবিল, খাটিয়া ছাড়াও অন্যান্য আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আশুগঞ্জ টোল প্লাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৯২টি জানালা, দুইটি হ্যালমেট, ল্যাগগার্ড ছয় জোড়া, দু’টি ওয়াকি টকি চার্জার, ল্যাপটপ একটি, ভিডিও ক্যামেরা একটি, এসি এছাড়া অন্যান্য আসবাবপত্র লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :