লিহান লিমা: [২] গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও তাজা গুলির লক্ষ্যবস্তু হয়ে মিয়ানমাওে ৫৪৩জন নাগরিকের প্রাণহানি হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৪জনই শিশু। নিরাপত্তা বাহিনী ২ হাজার ৭’শজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সিএনএ, গার্ডিয়ান
[৩]নিরস্ত্র জনগণসহ শিশুদের ওপর চালানো পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ‘শিশুরা নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো যে শিশুদের প্রাণহানি হয়েছে তারা ঘরেই অবস্থান করেছিলো। যেখানে কি না তাদের নিরাপদে থাকার কথা।’
[৪]হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ‘জান্তা সরকারকে শতশত মানুষকে জোরপূর্বক গুম করছে। আটককৃতদের পরিবারকে কোনো তথ্য দেয়া হচ্ছে না ও তারা আইনজীবীরও দ্বারস্থ হতে পারছেন না।’
[৫]ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস মিয়ানমারের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, রেড ক্রসের সম্পদ ও অ্যাম্বুলেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা অগ্রহণযোগ্য।
[৬]শুক্রবার মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীরা বাসস্টপসহ বিভিন্ন প্রকাশ্য স্থানে নিহতদের স্মরণে ফুল ও প্ল্যাকার্ড রেখে প্রতিবাদ জানান। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ খবর বর্হিবিশ্বে আসার খবর আটকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে জান্তা সরকার। টানা ৫০দিন যাবত মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখার পর শুক্রবার থেকে দেশটির ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড সার্ভিস সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটির নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে গোপনীয়তা নতুন ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :