শাহীন খন্দকার: [২] ঢাকাবাসীর দূর্ভোগ কমাতে রাজধানীতে খুবই দ্রুত নতুণ বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসি।এবিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুৃল ইসলাম আরও বলেন,পরিবহণের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে বিআরটিসি রাজধানীতে ইতোমধ্যে ৩৬টি দোতালা বাস নামিয়েছে। রোববার নামবে আরো ২৪টি। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ভার্সিটিতে আমাদের অনেকগুলো গাড়ি লিজ দেয়া আছে। ভার্সিটিগুলো যেহেতু বন্ধ তাই আমরা সেই গাড়িগুলো রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের যতটুকু সম্ভব চলমান এই সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।
[৩] এতেও ভোগান্তি কমবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে নগরবাসী।এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অর্ধেক আসন খালি রেখে চলাচলের নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে গণপরিবহণ সংকট। চৈত্রের প্রখর রোদ। বাসের পরে বাস চলে যায়, কিন্তু জায়গা মেলে না। তাই আরেক বাসে উঠবার আশায় স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকা। গেল দুইদিন রাজধানীর বাস স্টপেজগুলোর চিত্র এমনই। রাস্তায় যাত্রী আছে কিন্তু বাসের স্বল্পতা।
[৪] আজ শুক্রবার হাজার হাজার মেডিকেল পরীক্ষার্থী রাজধানীর ফার্মগেটের বাসে উঠার যুদ্ধের দৃশ্যেই বলে দেয় গণপরিবহণ সংকট কতটা প্রবল। কতটা ভোগান্তিতে আছে মানুষ। পরীক্ষার্থী ও যাত্রীরা বলেন, আমরা দুই তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন বাস পাচ্ছি না। সময়মত কাজে পৌঁছাতে পারছি না। আর অফিস আদালতে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষই কাজ করছে। তাই সেই অনুযায়ি সরকারের উচিত গণপরিবহনও নামানো।
[৫] শুধু বাসের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত কিন্তু মানুষজনতো ঠিকই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাদের মনে হয় যারা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে তারা নিজেরা প্রাইভেট কারে করেই ঘুরে বেড়ায়।অফিস, কলকারখানা শতভাগ খোলা রেখে গণপরিবহণের সংকট নিরসন সম্ভব না বলে জানান পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।
[৬]বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, অফিস আদালতে এখনো জনবল না কমানোয় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অফিস আদালতে জনবল যদি ৫০ শতাংশ করা হয় তাহলে এই সমস্যা নিরসন হবে। এছাড়া বিআরটিসি থেকে যদি কিছু গাড়ি নামানো হয় তাহলেও কিছুটা ভোগান্তি কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :