নুরনবী সরকার:[২] লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে রংপুরের বাসিন্দা আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) রাতে বুড়িমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হাফিজুল ইসলাম বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য।
[৪] জানা গেছে, গত বছরের ২৯ অক্টোবর বুড়িমারী এলাকায় মসজিদে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় প্রথম দিকে ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও বিষয়টি প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজেই মীমাংসার চেষ্টা করেন।
[৫] পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন দাবী বিভিন্ন সংস্থার। তবে ঘটনার পরের দিন থেকে ওই ইউপি সদস্য আত্মগোপনে থাকলেও বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
[৬] এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
[৭] উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে রংপুরের শালবন মিস্ত্রিপাড়ার আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন্নবীর বিরুদ্ধে ‘কোরআন অবমাননার’ গুজব ছড়ানো হয়। ফলে সেখানে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে শত শত উত্তেজিত জনতা জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে।
[৮] শহীদুুুুন্নবীর রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ায় কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশের পক্ষ থেকে পাটগ্রাম থানায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন