শেখ সাইফুল :[২] বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের ২ নংওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখ ও কিবরিয়া শরীফের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আসাদ শেখ (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এসময় দুই পক্ষে নারীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
[৩] গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শাসন গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৪] গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যায় আসাদ শেখ মারা যায়। নিহতের ঘটনার পরপরই দুই প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
[৫] স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, নির্বাচনী পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[৬] নিহত আসাদ শেখ তালা প্রতিকের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখের চাচা। আহতদের মধ্যে রিপন শরীফ, মাহবুব শরীফ, রাজা শেখ, ইকলাছ শেখ,আরিফুল শেখ,এনামুল, জেসমিন খানম, সুমি খানমের নাম জানা গেছে।
[৭] মোরগ প্রতিকের প্রার্থী কিবরিয়া শরীফ বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময় বর্তমান মেম্বর মামুনের লোকজন আমার নেতাকর্মীদের উপরে হামলা করে। পরবর্তীতে আমার নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষের রুপ নেয়। এতে আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছে।
[৮] এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, কিবরিয়া শরীফ ও তার লোকেরা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও আমার কর্মীদের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছিল।
[৯] কেন এসব করছে তা জানতে চাইলে কিবরিয়ার লোকেরা আমাদের উপর চড়াও হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচা আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আমার চাচা মারা যায়। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
[১০] বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আসাদ শেখ নামের একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :