আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] চলতি অর্থবছরের জন্য এই পূর্বাভাষ দিয়েছে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসেফিক (এসকেপ)। একটি জরিপের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি এই ভবিষ্যতবানী করে।
[৩] এসকেপের এই ফ্র্যাগশিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ভবিষ্যতের উচ্চাভিলাসী কর্মপরিকল্পনা আর ৯ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত অতিমারি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। জাতিসংঘের মতে, গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিলো ৫.২ শতাংশ।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে লাভবান হয়েছে। অর্থবছর ব্যবস্থাপনাই এই সাফল্যের কারণ। এছাড়া ক্রমবর্ধমান রেমিট্যান্সও এই সাফল্যের নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
[৫] এসকেপ বলছে, পুরো এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এলডিসি ভুক্ত আর কোনও দেশ ৩ শতাংশের উপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। এসকেপ আরও বলে, ‘এই সাফল্যে ৩টি নিয়ামক কাজ করেছে। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়, গ্রামীন খাত অনেক বড়, যা অতিমারিতে অনেক কম ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুলনামূলক দূর্বল বাণিজ্য যোগাযোগ। যা মহামারির সময় বাংলাদেশকে অন্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে সহায়তা করেছে।
[৬] এসকেপ আরও জানায়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফিতি হবে মাঝারি গতিতে বা ৫.৯ শতাংশ। বিগত বছর এটি ছিলো ৫.৬ শতাংশ।
[৭] এসকেপের মতে, চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ শতাংশ। আর পাকিস্তানের মাত্র দেড় শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :