লিহান লিমা: [২] মিয়ানমারের সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভ রুপ নিয়ে জাতিসংঘ সহিংসতায়। দেশটির সাধারণ নাগরিকরা জান্তা সরকারকে হঠাতে ২০টিরও বেশি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠির সহায়তা চাওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। গার্ডিয়ান
[৩]মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করা এই গোষ্ঠিগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে নেমেছে। এর মধ্যে তিনটি গোষ্ঠি- তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনালিটিস ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও আরাকান আর্মি (এএ) বুধবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সেনাবাহিনীর ধর-পাকড় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আরো দুই সশস্ত্র গোষ্ঠি ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’ ও ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’র সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
[৪]মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মিয়ানমারে অপেক্ষামূলক কম প্রয়োজনীয় সরকারী কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে। মার্কিন কূটনৈতিক, কর্মী ও তাদের পরিবারের সুরক্ষায় এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৫] বুধবার ব্রিটেনের অনুরোধে পুনরায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বুধবার মিয়ানমারের অন্যতম মিত্র দেশ জাপান দেশটিকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমার জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করা সহ হুঁশিয়ারি দিলেও কোনো কিছুর তোয়াঙ্কা না করে হত্যাকাণ্ড ও ধর-পাকড় অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে এ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৫২১জন প্রাণ হারিয়েছেন।