শিরোনাম
◈ আওয়ামী পন্থিদের কারণে প্রশাসনে অস্থিরতা, শিগগির শুরু হচ্ছে অভিযান ◈ আবার ভারত-পা‌কিস্তান মুখোমুখি  ◈ বিএনপি নেতা ফয়জুল করিমের আওয়ামী লীগে যোগদান: বললেন, ‘শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক’ (ভিডিও) ◈ আরও আগে অভিষেক হলে শচীন টেন্ডুলকার‌কে টপকে যেতাম : মাইক হা‌সি ◈ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রতিদিন ৪০০-এর বেশি সাইবার হামলা, অর্ধেক আসছে চীন–উত্তর কোরিয়া–রাশিয়া থেকে ◈ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতারণা চক্রে স্টারলিংক নতুন অস্ত্র, সাইবার নিরাপত্তায় উদ্বেগ বাংলাদেশে ◈ আরও ৯ জনের শরীরে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স-সাদৃশ্য উপসর্গ ◈ নির্বাচনের আগে প্রশাসনের রদবদল নিজেই তদারকি করবেন প্রধান উপদেষ্টা: এনসিপি ও জামায়াতকে আশ্বাস ◈ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশে সমাধানের বদলে দফায় দফায় সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ◈ সেনা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে অ্যামনেস্টির বিশেষ অনুরোধ

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি: জাপা চেয়ারম্যান

শাহীন খন্দকার: [২]জিএম কাদের আরও বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তী মূল্যায়ন করলে দেখা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের স্বার্থে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তখন স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সৃষ্টি হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি।

[৩] শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় গাজীপুরের চিকিৎসক ডা.মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

[৪] তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে। দলীয়করণের মাধ্যমে দেশের চাকরি, ব্যবসা এবং আইনের শাসনে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতাসীন দল না করলে চাকরি মেলে না, ব্যবসা করা যায় না। আবার ক্ষমতাসীন দলের জন্য এক ধরনের আইন আর সাধারণ জনগণের জন্য ভিন্ন আইন। বৈষম্যের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয়করণের মাধ্যমে দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

[৫] তিনি বলেন, তারা হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে আবারও সংগ্রাম করতে হবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে জাতীয় পার্টি রাজনীতি করছে।’ কাদের আরও বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে সংবিধান সংশোধন করে এমন সরকার ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যাকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলা যায় না। কারণ, দেশের নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা এবং বিচার বিভাগের ৯৫ ভাগই সরকার প্রধানের হাতে। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে কোনো কিছু সম্ভব নয়। একারণে দেশে আইনের শাসন নেই, সমাজে সুশাসন নেই।

[৬] বিরোধী দলীয় উপনেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। সড়কে নিরাপত্তা নেই, বাস-ট্রেনে নিরাপত্তা নেই, ব্যবসায়-বাণিজ্যেও নিরাপত্তা নেই। চাঁদা ছাড়া কেউ ব্যবসা করতে পারে না। এখন করোনায় প্রতিদিন যত লোক মারা যায়, তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। পরিবহণ সেক্টর সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই, মনে হচ্ছে পরিবহণ সেক্টরই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরও বলেন, ‘সংসদীয় সরকার পদ্ধতির নামের ভেজাল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। দেশের মানুষ মুক্তি চায়, দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসন দেখতে চায়না। দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়বো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়