গোলাম সারোয়ার:[২] ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বাহাদুরপুরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যেই তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
[৩] শনিবার ২৭ মার্চ বিকেল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে এ ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন বলে জানিয়েন আশুগঞ্জের ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস।
[৪] এদিকে শহীদ ভারতীয় সেনাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে এবং এ সংবাদে আশুগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অনেক খুশি।
[৫] বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই শুনছি ভারতীয় মিত্রবাহিনীর শহীদের স্বরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে।
[৬] যার ফলে আগামী ২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে এই স্মৃতিস্তম্ভটি ভিত্তি প্রস্তর ও ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন। এতে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অনেক খুশি হয়েছি। এটি নির্মিত হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে।
[৭] আশুগঞ্জের ইউএনও অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পী জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
[৮] তিনি আরো জানান, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে এটি প্রথমবারের মতো উদ্যোগ। এ স্মৃতিস্তম্ভে পার্ক, আন্ডারপাস, ফুডকোর্ট ও বিদ্যুতের সাব-স্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত থাকবে। মিত্রবাহিনীর জন্য এর আগে আর কোনো স্মৃতিস্তম্ভ হয়নি। আশা করা হচ্ছে, এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখা সম্ভব হবে।
[৯] মিত্র বাহিনীর শহীদদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালেই একনেকে ১৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়। কিন্তু জমি পেতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। জমি পাওয়ার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্প সংশোধন করা হয়।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন