ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] প্লেনে চড়ছেন তিনি, ফেসবুক ও টুইটারে এই ছবি শেয়ার মোদি লিখেছেন, এই সফর ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বকে আরো সুদৃঢ় করবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালায় অংশ নিতে তার এই সফর।
[৩] তথ্য অধিদপ্তর জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতিথিকে বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
[৪] বিমানবন্দরে থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন মোদি। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন।
[৫] বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন হোটেল শেরাটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর নরেন্দ্র মোদি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেবেন।
[৬] রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করবেন। সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’। সেখানে মোদি তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
[৭] সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওড়াকান্দি মন্দির পরিদর্শন করবেন। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দিরেও যাবেন তিনি।
[৮] শনিবার বিকেলে মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ গ্রহণ করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
[৯] শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।