সমীরণ রায়, মহসীন কবির: [২] মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৪৮৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ জন। গত সোমবার করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। আর করোনা শনাক্ত হয় ৮৪৫ জনের।
[৩] গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। টানা ৫০ দিন পর শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়াল।
[৪] দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
[৫] ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
[৬] করোনা নিয়ন্ত্রণের গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাচ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :