দেবদুলাল মুন্না: [২] গবেষক মহিউদ্দিন আহমদের নতুন বই ‘প্রতিনায়ক: সিরাজুল আলম খান’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] গত রোববার বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। এ বইতে সিরাজুল আলম খানের এই শেষ ইচ্ছাগুলোও তুলে ধরা হয়েছে। সিরাজুল আলম খান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠাতে হবে মরদেহ, যা ঢাকা থাকবে একটা কাঠের কফিনে। মায়ের একটা শাড়ি রেখে দিয়েছি। কফিনটা শাড়িতে মুড়ে মাটিতে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে, মায়ের কবরে।
[৪] বইটিতে সিরাজুল আলম খান সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বঙ্গবন্ধুর ব্যাক্তিত্বে মোহমুগ্ধ ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে দেখেই তিনি একমাত্র রাজনীতিই করতে চেয়েছেন সারাজীবন। রাজনীতির বাইরে কিছুই চাননি। অথচ চাইলে তিনি অন্য পেশায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন।
[৫] ষাটের দশকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ যে ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেছিল সেটির নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পরে দেশ স্বাধীনের পর জাসদ গঠন করলে দলটি এখন খণ্ড-বিখণ্ড।
[৬] কিন্তু জাসদ গঠন করার ফলেই সঙ্গীদের চোখে তিনি হয়ে গেলেন প্রতিনায়ক। ফলে তিনি আড়ালেই চলে গেলেন। নতুন রাজনীতির পটপরিবর্তনে আর ভুমিকা রাখেননি। বইটি এখন প্রথমা ও রকমারি ডটকমে পাওয়া যাচ্ছে। মুল্য ৮০০ টাকা।