অ্যাডভোকেট এলিনা খান: স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীরা এখনো স্বাধীন হতে পারেনি। নারী স্বাধীনতার মুখ দেখতে পায়নি। কিছু নারী হয়তো তাদের অধিকার পাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের দেশের প্রান্তিক নারীরা এখনো নির্বিচারে বিভিন্নভাবে সামাজিক বা পারিবারিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করছে। নারী বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, রাস্তা-ঘাটে পুরুষের লালসার শিকার হচ্ছে, ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। নারীরা রাস্তায় একা চলতে ভয় পাচ্ছে। নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েও বলতে ভয় পাচ্ছে আমাদের সমাজে।
নারীরা পেশাগত জায়গায়ও কখনো কখনো পুরুষ দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নারীরা পারিবারিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে মানসিকভাবে। নারীর পূর্ণ অধিকার দিতে পুরুষের মানসিক চিন্তার জগৎ খুবই সংকীর্ণ। নারী স্বামীর কাছে যৌতুকের জন্য দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এইদেশে তাহলে নারীরা স্বাধীন হতে পেরেছে কোন মানদণ্ডে?
নারীরা স্বাধীনতার স্বাদ পাবে কীভাবে? নারীরা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু তারা অর্থনীতির দিক থেকে স্বাধীন নয়। তারা তাদের অর্জিত অর্থ নিজ স্বাধীনতায় খরচ করতে বাধা পায়। নারীরা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে, তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের আরও সুযোগ করে দেওয়া দরকার। নারীরা সোচ্চার হচ্ছে তাদের পূর্ণ অধিকার আদায়ে। তাদের সেই অধিকার দেওয়া ও নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। নারীরা চাইলেই নারীদের বিধান করতে পারবে না। তাই নারী অগ্রগতির জন্য পুরুষের মানসিকতা পরিবর্তন ও সহযোগিতার প্রয়োজন।
পরিচিতি : মানবাধিকারকর্মী এবং আইনজীবী। সাক্ষাৎকারের নিয়েছেন মাসুদ হাসান