শরীফ শাওন: [২] শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শণ ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ বলেন, ৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে অধিদপ্তরের যে পরিমাণ জনবল ছিলো, বর্তমানে ৩৬ হাজার ৭শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একই জনবল নিয়ে কাজ চলছে। কর্মকর্তা সংখ্যা কম থাকায় তদন্ত টার্গেট বেশি থাকে। ফলে তদন্ত কাজে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়।
[৩] পরিচালক জানান, ৩য় ও ৪র্থ পদে কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহে এসকল পদে ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অফিসার পদে নিয়োগ হবে ২জন, এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেশনে আসছে আরও ১০ জন, বিষয়টিও পাইপলাইনে রয়েছে।
[৪] পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আর্থিক সচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিউশন ফি নির্ধারণের কাজ চলমান রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্বে থাকবে ডিআইএ।
[৫] তিনি বলেন, কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে। সফটওয়্যারে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে। প্রতিষ্ঠানে তদন্তের রিপোর্ট এখানে আপলোড করা হলে, সামঞ্জস্য তৈরির মাধ্যমে সফটওয়্যারটি একটি সেমি অটোমেটিক রিপোর্ট তৈরি করবে। বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য এখানেই আপলোড করা হবে।
[৬] প্রফেসর অলিউল্লাহ আজমতগীর বলেন, অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেগুলো প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে প্রতিবেদনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।