লিহান লিমা: [২] রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীর সমান অংশগ্রহণের অধিকার, ভোটের অধিকার ও ন্যায্য মজুরির অধিকারের আন্দোলন জন্ম দিয়েছিলো নারী দিবসের। চলুন জেনে আসি নারী দিবসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক:
[৩]আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল সূচনা হয়েছিলো ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির সোশ্যালিস্ট পার্টি নিউইয়র্কে নারী শ্রমিকদের সম্মাননা জানাতে এই দিনটিকে বেছে নিয়েছিলো।
[৪]১৯১০ সালে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব সোশ্যালিস্ট উইম্যান সম্মেলনে জার্মান কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিন সর্বপ্রথম নারী দিবসের ধারণা উত্থাপন করেন।
[৫]১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে নারীরা সম্মিলিতভাবে ‘উইম্যানস ডে’ র্যালিতে যোগ দেন। ইউরোপের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় লক্ষাধিক নারী ভোটের অধিকার, পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের দাবী জানায়। নিয়োগে লিঙ্গ বৈষম্য ও ন্যায্য মজুরির দাবীতেও প্রতিবাদ করেন নারীরা।
[৬]আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ মার্চ সর্বপ্রথম নারী দিবস হিসেবে উদযাপিত হয় ১৯১৪ সালে বার্লিনে, নারীরা ভোটের অধিকারে বার্লিনের রাজপথে আন্দোলন করেছিলেন।
[৯]ইউরোপে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হয়েছিলো ১৯১৭ সালের ৮ মার্চ। সেন্ট পিটাসবুর্গে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবীতে রাজপথে নামেন, এই আন্দোলন পরবর্তীতে রুশ বিপ্লবে রুপ নিয়েছিলো।
[১০]১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ৮ মার্চ কেবলমাত্র কমিউনিস্ট দেশ ও সোশ্যালিস্ট ঘরানার আন্দোলন শক্তিশালী হয়েছে এমন দেশগুলোতেই পালিত হতো।
[১১]১৯৭৭ সালে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ৮ মার্চকে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
[১২]রাশিয়া, উগান্ডা, মঙ্গোলিয়া, জর্জিয়া, কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ ও ইউক্রেনে ৮ মার্চ আনুষ্ঠানিক সরকারী ছুটির দিন। সার্বিয়া, আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া ও উজবেকিস্তানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ‘মা দিবস’ হিসেবেও পালিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :