মিনহাজুল আবেদীন: [২] জাতীয় দৈনিক, বিশেষ করে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় এক দশক আগেও নিয়মিত কার্টুন প্রকাশ করা হতো। সেগুলো জন্ম দিতো ব্যাপক আলোচনার। কিন্তু এখন আর পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায় কার্টুন, বিশেষ করে রাজনৈতিক কার্টুন ছাপা হয় না।
[৩] বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সংবাদপত্রের নিয়মিত পাঠক রওশন আরা মুক্তা বলেছেন, এক সময় বেশ জ্বালাময়ী কার্টুন দেখা যেতো, যাতে অনেক বার্তা থাকতো। কিন্তু এখন আর সেটি চোখে পড়ে না।
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শামীম রেজা বলেন, নব্বই সালে জেনারেল এরশাদের বিদায়ের পর দু’দশকে সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় আলোচিত নানা ইস্যু বা ব্যক্তিকে ঘিরে আঁকা কার্টুন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। কিন্তু এখন কার্টুনকে ঘিরে সংবাদপত্রগুলোর সেই আগ্রহ নেই। বিশেষ করে রাজনৈতিক কার্টুন এখন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। কারণ সংবাদপত্রগুলো কার্টুন আঁকলেও সেখানে এখন, ব্যক্তি চরিত্রের বদলে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ইস্যুকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
[৫] তিনি বলেন, এখন কার্টুনকে ঘিরে সম্পাদকীয় নীতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে বা আনতে তারা বাধ্য হয়েছেন। কার্টুন হলো স্যাটায়ার ও এক ধরনের মতের প্রকাশ। একটা স্যাটায়ারের মাধ্যমে মত প্রকাশ করা যায়। যেহেতু কার্টুনিস্ট বা মিডিয়াগুলোর ওপর যা প্রতিক্রিয়া এসেছে, সে কারণেই সেলফ সেন্সরশিপ তৈরি হয়েছে কার্টুন নিয়ে। সেজন্যই কার্টুনগুলো দেখা যাচ্ছে না।
[৬] তরুণ কার্টুনিস্ট চন্দ্রিকা নূরানি ইরাবতি জানান, আমাদের কার্টুন আঁকার ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের নিয়ে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের সব নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে, যা বিড়ম্বনা দিবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :