শিরোনাম
◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস ◈ শাপলা প্রতীক নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক!

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৯ রাত
আপডেট : ০৭ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক পাহাড়ের কোলে অন্য পাহাড়, তামাং গাঁও যেন ‘স্বর্গ’

ডেস্ক রিপোর্ট: নীল আকাশ্যের রাজ্য বলা চলে। আবার কখনো জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে কুয়াশার পাল। জানলার ওইপারে খাদ। এক পাহাড়ের কোলে এসে শুয়েছে অন্য পাহাড়। ছোট্ট ছবির মতো সাজানো হোম-স্টের বাইরে পা রাখলেই মনে হবে, এমন শান্ত জায়গা আছে পৃথিবীতে? এ যেন এক লুকানো স্বর্গ, পোশাকি নাম ‘তামাং গাঁও’।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক অনেকেরই চেনা। সেখানেই ছোট্ট গ্রামটির অবস্থান। ৭ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় একটা নিস্তব্ধতা! এই গ্রামে সকালে ঘুম ভাঙায় পাহাড়ি ঝরনার শব্দ। তাকে সঙ্গত করে হিমালয়ের অসংখ্য পাখির ডাক। জবথবু শীতে জানালার পাল্লা খুলতেই ঘরে ছোটাছুটি শুরু করে সোনালি রঙের রোদ। বাইরে তখন সবুজ আর পাহাড় মিলেমিশে একাকার!

যে কাউকে আপন করে নেয় তামাং গাঁও। এই গ্রামে তামাং গোষ্ঠীর মানুষদের বাস, তারাও বেশ আন্তরিক। সারাবছর চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। শুধু ফসলই নয়, সারল্যে ভরা এই রাজ্যে শরতের পর থেকেই রোদটা ঘুরতে শুরু করে। বনের গাছ-গাছালিতে পাতা ঝরা শুরু হয়। বসন্তে রডোডেনড্রন গাছে ফুল আসে। পাহাড়ি মানুষগুলো একইভাবে বয়ে চলেন তুলো-মেঘের মতো। শীত বাড়লে আগুন পোহাতে পোহাতে সেই কোনো আদিম সখ্যের আলপনা আঁকেন তালুতে তালু জুড়ে। দূরে তখন পাহাড়ের গা জুড়ে আলোর জোনাকি মিটমিট করে জ্বলছে।

তামাং গাঁওয়ে যেন এক পাহাড়ের কোলে এসে শুয়েছে অন্য পাহাড়। ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে হাজারো মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু পাহাড়ে নিস্তব্ধতায় প্রাণভরে শ্বাস নিতে চাইলে তামাং গাঁও বেছে নিতে পারেন। পায়ে হেঁটে না ঘুরলে এই গ্রামের সবটুকু মায়া ধরা দেবে না। এখান থেকে সান্দাকফু একদিনের হাঁটাপথ। চাইলে পায়ে হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন তিনতালে জঙ্গল। হাঁটতে হাঁটতেই চোখে পড়বে নাম না-জানা পাখি, বুনো ফুল, নীল ফড়িং। প্রতিটা বাঁকে বদলে বদলে যাবে দৃশ্য। গ্রাম ছাড়িয়ে খানিকটা উঠলেই আকাশ জুড়ে শুয়ে আছেন ঘুমন্ত বুদ্ধ। কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে চাইলে অবশ্য ভোরে যাওয়াই ভালো।

চাইলে গ্রাম থেকে গাড়িতে ঘুরে আসতে পারেন ধোত্রে, চিত্রে, লামাধুরা, মেঘমা, টংলু। সিরি খোলা, মুংমুংখোলা, হ্যাংগিং ব্রিজ, রিমবিক মোনাস্টারি কিংবা গুম্ববা দাঁড়া ভিউ পয়েন্টও খুব দূরে নয়। এছাড়া, গ্রাম থেকে সামান্য বেরোলে পায়ে হাঁটা অজানা পথের হাতছানি তো আছেই। আর আছে অপার শান্তি, ঘোর বুনে দেয়া হাওয়া এবং হিমালয়। একবার গেলে তামাং গাঁও-এর নেশা আপনাকে ছাড়বে না কিছুতেই।

যেতে চাইলে প্রথমেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশনের সামনে থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে আসা যাবে তামাং গাঁও। দার্জিলিং থেকেও শেয়ার গাড়ি পাওয়া যাবে। এই গ্রামে থাকার জায়গা বিশেষ নেই। আছে একটি হোম-স্টে।ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়