রাশিদুল ইসলাম : [২] মিয়ানমারের সামরিক জান্তার পক্ষ ত্যাগ করে জাতিসংঘে দেশটির বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার এমন আহ্বান জানালেন। তিনি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর প্রাণঘাতী সহিংসতা বন্ধ এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। আল-জাজিরা
[৩] শ্রেনার বার্গনার বলেন, আমরা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে এই কাজ আর কতদূর চালিয়ে যেতে দেব? মিয়ানমারের পরিস্থিতি ‘বড় ধরনের মানবিক সংকটের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
[৪] তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করা এবং মিয়ানমারের জনগণের পাশে দৃঢ়তার সঙ্গে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের অটল ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।
[৫] এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে আর্থিকভাবে অচল করতে কর আদায় বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সু চির দল এনএলডি ও সেনাবিরোধী অন্য দলগুলোর নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এ সরকার ‘দ্য কমিটি রিপ্রেজেনটিং পিদংসু হ্লুত্তাও’ (সিআরপিএইচ) এ ডাক দিয়েছে।
[৬] ১১ সদস্যের এই কাউন্সিলই বর্তমানে মিয়ানমারের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এধরনের ছায়া সরকার এক বিবৃতিতে শুল্ক বিভাগের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর আদায় ও এ সম্পর্কিত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
[৭] কাজ বন্ধ করে সব সরকারি কর্মচারিকে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই সরকারের পক্ষ থেকে। আন্দোলনে যোগ দিতে ডেডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৭ মার্চ মধ্যরাতের আগে আন্দোলনে যোগ দেওয়া আর না দেওয়া সব কর্মচারির তালিকা তৈরি করা হবে। যারা যোগ দেবে না, তাদের গণশত্রু হিসাবে অভিহিত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :