রাশিদুল ইসলাম : [২] পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরানোর পর নেপাল-ভুটান-সিকিম সীমান্তে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তৎপর হয়ে ওঠায় ভারতও পাল্টা সেনা বৃদ্ধি করছে। চীন সেনা বৃদ্ধি ছাড়াও হেলিপ্যাড তৈরি করছে। এ পরিস্থিতিতে ডোকলামের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না ভারত। দি ওয়াল
[৩] সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) বাহিনীর ১৩ হাজার জওয়ানকে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে ত্রিদেশীয় সীমানা বরাবর। এসএসবি নেপাল (১৭৫১ কিলোমিটার) ও ভুটান (৬৯৯ কিলোমিটার) সীমান্তে টহলদারি দেয়। এ বাহিনীর পাঁচ থেকে ছয় ব্যাটেলিয়ন নিয়োগ করা হবে নেপাল, ভুটান ও চীন সীমান্ত বরাবর।
[৪] এসএসবি-র ডিরেক্টর জেনারেল কুমার রাজেশ চন্দ্র বলেছেন, ওই ত্রিদেশীয় সীমান্তে আগামী চার বছরের জন্য নতুন করে সেনা বিন্যাস করা হবে। ডোকলামে নয় তবে আশপাশের সেনা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সীমান্তে অবকাঠামো তৈরি ছাড়াও বর্ডার আউটপোস্টের সংখ্যাও অত্যন্ত দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে।
[৫] এমন প্রেক্ষাপটে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই নয়াদিল্লিকে জানিয়েছেন তার দেশ চরম সঙ্কটে, দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না নেপাল।
[৬] গত এপ্রিলে ভারতের বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন সীমান্তে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে নেপাল। নেপালের নতুন মানচিত্রে ভারতের কালাপানি এবং লিপুলেখ অঞ্চলকে নেপালের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। ভারতের মিডিয়াগুলোতে অভিযোগ তোলা হয় চীনের শি জিনপিং সরকারের প্ররোচনাতেই নেপালের সঙ্গে সম্পর্কের ক্রমেই অবনতি হচ্ছে ভারতের।
[৭] ভট্টরাই বলছেন, চীনের প্রভাব সাঙ্ঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে নেপালে।
আপনার মতামত লিখুন :