সমীরণ রায়: [২] হাতি নিধন রোধ ও সুন্দরবন অঞ্চলে কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা দিয়ে মো. শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। উভয় সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ, বাঘ ও শিকারী প্রাণী পাচার বন্ধ, দক্ষতা বৃদ্ধি, মনিটরিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণ ও করিডোরের মাধ্যমে বন্য হাতির নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ১টি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাঘ, হাতি ও কুমিরের আক্রমণে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ ও আহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
[৩] পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে ২৯৫১টি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৪৬ জন অপরাধীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড করা হয়েছে। বন্যপ্রাণীর বংশবিস্তার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও গাজীপুরে ২টি সাফারী পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের জুড়িতে ১টি নতুন সাফারী পার্ক স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন” প্রবর্তন করা হয়েছে। গত একশ বছরে দেশ থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। তাই সম্মিলিত প্রয়াসে বন, বনজ সম্পদ ও প্রাণীকূলকে রক্ষা করতে হবে।
[৫] বুধবার আগারগাঁওয়ে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :