এম আমান উল্লাহ: [২] কক্সবাজারের রামুতে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজে নির্মিত ভুবন শান্তি ১০০ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তিটি ভক্ত-অনুরাগী-পর্যটকদের নজর কেড়েছে। মূর্তিটি দেখলে মনে হয় ডান হাতের উপর মাথা রেখে, খোলা চোখে, পা টান করে স্বয়ং গৌতম বুদ্ধই যেন শুয়ে আছেন। এ মন্দির ও মূর্তি দর্শনে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক ও ভক্ত-অনুরাগী।
[৩] ২০০২ সালে শ্রীমৎ করুণাশ্রী মহাথের এখানে বৌদ্ধ মন্দির ও দৃষ্টিনন্দন ভুবন শান্তি ১০০ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি স্থাপন করেন। তবে এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম বুদ্ধমূর্তি বলে দাবি করা হয়।
[৪] শ্রীমৎ করুণাশ্রী মহাথের জানালেন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ঘুরে হরেক রকমের বুদ্ধ মূর্তি দর্শনের পর নিজ মাতৃভূমিতে বিশাল এই সিংহ শয্যা মূর্তি নির্মাণের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। দুই একর জমিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এ মন্দির ও বিশাল মূর্তি স্থাপন করেছেন তিনি।
[৫] তিনি আরো জানান, ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি পর্যটকদের পদচারণায় রামুর এই ভুবন শান্তি ১০০ ফুট সিংহ শয্যা মূর্তির ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের পাশাপাশি বিনোদনের অন্য মাত্রা যোগ হয়েছে। এই মন্দিরে প্রবেশ করতে দর্শনার্থীদের ১০ টাকা করে টিকেট কাটতে হয়।
[৬] দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্ত-পর্যটকরা জানিয়েছেন, এই মন্দির ও গৌতম বুদ্ধ মূর্তির নির্মাণ শৈলী সবার নজর কাড়ে। সারা বছর কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের একটি বড় অংশ রামুর বৌদ্ধ মন্দির ও প্যাগোডা দেখতে আসেন।
[৭] বৌদ্ধ নেতারা বলছেন, রামুতে গৌতম বুদ্ধের সিংহ শয্যা ছাড়াও আরো ২৫টি বৌদ্ধ মন্দির ও প্যাগোডা রয়েছে। যা হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিটি মন্দির-প্যাগোডায় রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে গৌতম বুদ্ধের ভক্ত-পর্যটকরা নির্বিঘ্নে এসব মন্দির দর্শন করতে পারেন। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :