আতাহার আলী: [২] শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত কিশোরপুরের তারুপাড়া, মালুপাড়া এবং শেখপাড়া এলাকায় কুকুরের কামড়ের এ ঘটনা ঘটে।
[৩] প্রতক্ষদর্শীরা জানান,সন্ধার পর ঐ এলাকার তারুপাড়া এলাকায় কবির মল্লিকের মেয়ে মল্লিকা (১৪)কে প্রথমে কামড় দেয়। পরে মালুপাড়া ও শেখপাড়ার ছইর খাঁর ছেলে জিহাদ (১৩),শাহাব উদ্দীনের ছেলে রাকিব (২৫), মৃত নাসির উদ্দিীনের ছেলে নান্টু (৩০), হুজুর আলীর স্ত্রি রেশমা (৫৫), মৃত জসিম মালের ছেলে ইয়াজুল (৬৫) সহ এলাকায় অন্যদের কামড় দেয়। উল্লেখ্য আহত ইয়াজুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাপলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা স্থানীয় স¦াস্থ্যকেন্দ্র সহ বিভিন্ন যায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
[৪] সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই দিন সন্ধার পর হঠাৎকরেই কুকুরটি মল্লিকা (১৪) কে কামড় দেয়ার পর লোকজন কুকুরকে তাড়া করলে সামনে জাকে পেয়েছে তাকেই কামড় দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার মানুষ দলবেধে লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরটিকে মারার জন্য ধাওয়া করলে কুকুরটি পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষ কুকুরের আতঙ্ক থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতে লাঠি নিয়ে চলাফেরা করছেন।
[৫] এ বিষয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, এলাকার হাজামপাড়ায় ইসলামী জালসা মাহফিল ছিল। যার কারনেই একদিনে অল্পসময়ের ব্যাবধানে পাগলা কুকুর এতগুলো মানুষকে আহত করেছে।
[৬] উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চৌধুরী নিয়ামুল হাসান (রিফায়েত) বলেন, একটি কুকুরের কামড়েই সবাই আহত হয়েছেন। কুকুরটি র্যাবিসে (জলাতঙ্ক) আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। হাসপাতালে কোন র্যাবিস ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। তাই কুকুরের কামড়ে আহত ব্যাক্তিদের প্রাথমিক টিকিৎসা দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
[৭] বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ