মিনহাজুল আবেদীন: [২] মহামারির মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান, কুয়েত ও জর্ডান থেকে ৪ লাখের বেশি শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।
[৩] শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এবনুজ জাহান বলেছেন, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৬৮ জনকে ৮৯.৪৯ দশমিক কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৮০ কোটি টাকা হাতে পেয়েছি, বাকি টাকাগুলো পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত জমা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কারণে সঠিক সময়ে প্রবাসী শ্রমিকদের ঋণ প্রদান করা হয়নি, তবে ঋণ প্রদানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। মার্চ মাসে আমরা ১৫০ কোটি টাকা বিতরণ করবো।
[৪] ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেন, যারা ইমিগ্রেশন কার্ড নিয়ে বিদেশ যান, তাদের প্রত্যেকের তথ্য আমাদের নিকট সংরক্ষিত আছে। কিন্তু বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কোনও তথ্য আমাদের নিকট নেই। তবে এখন এমইএমআইএফের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগ্রহ হওয়ার পর তারা সরকারের সব ধরনের সুবিধাসহ আর্থিক ঋণ পাবেন।
[৫] ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, করোনার মধ্যে যারা বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন, তাদের সবাইকে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে সহায়তা করা উচিত। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও ভিন্নমাত্রায় পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৬] বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরূপের প্রধান তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ঋণ দেয়ার কাজটি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে না করে এ কাজগুলোর সঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোকে যুক্ত করতে হবে, তাহলে ঋণের ক্ষেত্রটি সহজ হবে। কোনও ব্যক্তি বঞ্চিত হবে না।
[৭] ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের সব ধরনের সুবিধা দিতে আমরা কাজ করছি। তবে আমাদেরকে আরও সর্তক হয়ে কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :