ইমরুল শাহেদ: ঢাকার চলচ্চিত্রে কলকাতার শিল্পী নতুন কোনো ব্যাপার নয়। এক সময় তারকা সংকট দেখা দিলে এদেশে কাজ করতে এসেছেন মুনমুন সেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তসহ আরও অনেক নায়িকারা। সেই সংকটের অবসান হওয়ার কিছু সময় পরই আবারও সংকট দেখা দিলে কলকাতার শিল্পীরা আসতে শুরু করে।
এছাড়া যৌথ প্রযোজনার ছবির সূত্রেও এদেশের দর্শক কলকাতার শিল্পীদের দেখেছে। শাপলা মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অনেক আগে থেকেই কলকাতার সঙ্গে ব্যবসা করে চলেছে। মাত্র ক’দিন আগেই দেবকে নিয়ে নয়টি ছবি নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই সুবাদে দেব ঢাকাও আসেন।
কিন্তু এক দুটি ছবি নির্মাণ করার পর অন্য ছবিগুলো বাতিল হয়ে যায়। শাপলা মিডিয়া এখন একশ’ ছবির প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই একশ’ ছবির দীর্ঘ তালিকায় পরিচালক শামীম আহমেদ রনির নাম নেই। অথচ তিনি হলেন শাপলা মিডিয়ার নিয়মিত পরিচালক।
অবেশেষে দেখা যাচ্ছে, এই পরিচালক ‘বাবাই’ নামের একটি ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন। এই ছবিতে নেওয়া হচ্ছে কলকাতার প্রসেনজিৎকে। ছবির প্রযোজক সেলিম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী মাসের শেষের দিকে ছবিটির শুটিং শুরু হবে।’ প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে, প্রসেনজিতের বিপরীতে সোহানা সাবা কাজ করছেন।
সোহানা সাবা প্রকৃতার্থে বাণিজ্যিক অভিনেত্রী নন। তিনি সম্প্রতি টালিগঞ্জের ‘ষড়রিপু’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তার সোহানা সাবা অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’। যৌথ প্রযোজনার সুবাদে এদেশের দর্শক মনের মানুষ, শঙ্খচিল ছবিতে প্রসেজিৎকে দেখেছেন। এছাড়া ইন্টারনেট যুগে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রসেনজিৎ ছাড়াও দেব, জিতদের অহরহ দেখছেন।
সুতরাং যে কোনো দেশের তারকাই এখন আর দর্শকের কাছে কোনো চমক নয়। কাজের সুবাদে তারকারা কেবল স্থানান্তর হন। প্রসেনজিৎও তাই। তবে বাবাই ছবি নিয়ে সোহানা সাবার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :