রিয়াজুর রহমান: [২] চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন জয়নগর এলাকায় জহির আহম্মদ খুনের প্রধান আসামী দলিল আহম্মদের বিচার দাবি করেছেন জহির আহম্মদের কন্যা খুশি আকতার।
[৩] বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খুশি আকতার তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ১৯৮৩ সালের ১৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ছুরিকাঘাত করে আমার পিতা জহির আহম্মদকে খুন করে দলিল ও তার দলবল। এই ঘটনায় রাউজান থানায় ২৬ মার্চ ১৯৮৩ সালে সি এস ১১ নং একটি মামলা রুজু করা হয় বলে থানা সূত্রে জানতে পারি।
[৪] তিনি বলেন, আমার পিতার খুনের পরদিন ১৮ জানুয়ারি একটি মামলা রুজু করা হয়। তবে আমরা (জহির আহম্মদের )পরিবার নিশ্চিত হয়েছি যে, খুনের পর আমার বাবার লাশের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তাই আশা করছি পুলিশ সক্রিয় হলে আমার বাবার মামলার নথিপত্র অবশ্যই বের হবে এবং খুনের ঘটনায় বিচার কাজও শুরু করা যাবে। এই ঘটনায় রাউজান থানায় একটি মামলা হলেও আসা টানা ৩০ বছরের অধিক সময় বিদেশে আত্মগোপন করে গত ৭/ ৮ বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। আমার পিতা খুন হওয়ার সময় আমরা ভাই বোন সবাই বয়সে অনেক ছোট ছিলাম।
[৫] খুশি আকতার আরো বলেন, খুনি দলিল দেশে ফিরে এসে আমরা সকল ভাই বোনদের বিরুদ্ধে নানা কুটকৌশলে মেতে উঠেছে। গত ৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং দলিল তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার বড় বোন হোসনে আরা বেগমের ঘরে ঢুকে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে বাড়ীঘর ভেঙ্গে ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমার বোন রাউজান থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। উল্টো থানা পুলিশ আমার বোন ও ভাই মোঃ হোসেনকে মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তারের হুমকী প্রদান করে বলে অভিযোগ করেছেন খুশি আকতার।
[৬] পরবর্তীতে চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সি, আর মামলা দায়ের করেন আমার বোন হোসনে আরা বেগম। আমার বোন হোসনে আরা বেগমের ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকে আমরা সকল ভাই, বোন পরিবার পরিজন নিয়ে নিকট আত্মীয়স্বজনের বাড়ীঘরে আত্মগোপন করে প্রাণে বাঁচার চেষ্টায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। প্রায় দুই মাস ধরে আমরা নিজ বাড়ীতে যেতে পারছি না এই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ভয়ে। আমি আমার পিতার খুনের ঘটনায় থানায় রুজু হওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দলিল আহম্মদসহ সকল আসামির শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
[৭] সংবাদ সম্মেলণে আরো উপস্থিত ছিলেন খুশি আকতারের ভাই মোঃ হোসেন, বোন যথাক্রমে হোসনে আরা বেগম, হাাসিনা বেগম ও বাছু আকতার প্রমূখ। সম্পাদনা: হ্যাপি