সুজন কৈরী : [২] জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ সহযাত্রী কলারের ফোনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ।
[৩] ৯৯৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা মহানগর গোধূলি ট্রেন থেকে আজাদ নামে একজন যাত্রী ফোন করে জানান, ট্রেনটি এইমাত্র ভৈরব স্টেশন অতিক্রম করেছে। কিছুক্ষণ আগে বগির শেষ প্রান্তে যাত্রী ওঠা নামা করার দরজার পাশে একটি আসনে শিশু সন্তানসহ বসে থাকা এক মহিলার ব্যাগ এক ছিনতাইকারী টান মেরে নিয়ে চলে যায়। মহিলা শিশু সন্তানকে রেখে ছিনতাইকারীর পিছু পিছু ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পা পিছলে রেল লাইনের ওপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। ট্রেনের গতি তখন কম থাকলেও এখন বেড়ে গেছে। তিনি ও অন্যান্য যাত্রীরা ট্রেনের চেইন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ট্রেন থামেনি।
[৪] শেষে কোন উপায় না পেয়ে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন। ৯৯৯ তাৎক্ষণিক কলারের সাথে ভৈরব রেলওয়ে থানার ডিউটি অফিসারের কথা বলিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল রেল লাইন থেকে অজ্ঞান অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মহিলার মাথার পেছনে পাওয়া আঘাতে সেলাই দেয়া হয় এবং ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হয়, মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় মহিলাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নিয়ে যেতে হবে।
[৫] এরপর ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় এম্বুল্যান্স যোগে মহিলাকে নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ট্রেনে থাকা মহিলার শিশু সন্তানকে ট্রেনের ডিউটি পুলিশ তাদের জিম্মায় নিয়েছে এবং ভৈরব রেলওয়ে থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। রেলওয়ে থানা শিশু সন্তানকে বুঝে পেয়েছে বলে ৯৯৯ কে জানানো হয়।
[৬] ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তারা জানতে পেরেছেন মহিলার নাম সাবিনা ইয়াসমিন (৩০)। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। তিনি তার সাত বছর বয়সী ছেলে সন্তান মেরাজকে নিয়ে আখাউড়া থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। মহিলার স্বামী মারা গেছে বলে জানা গেছে। মহিলার আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে আখাউড়া থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে। রাত ১২টায় এই রিপোর্ট লেখা কালীন মহিলাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেছে এবং সিটি স্ক্যান করানোর প্রক্রিয়া চলছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :