সমীরণ রায়: [২] রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম আয়োজিত এক পথসভা ও শোভাযাত্রায় সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের অবদানও কোনো অংশে কম নয়। বঙ্গবন্ধুর শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাভাষা সংগ্রামের অমর একুশ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পাবে বলে আশা করি।
[৩] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন, মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহার সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে আবেগ ও প্রেরণায় মাতৃভাষা আন্দোলন সে বাংলার প্রতি নবপ্রজন্মের সেই ভালোবাসা নেই বললেই চলে। বাংলা ভাষার প্রতি এমন উদাসীনতা মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা ও ভাষা শহীদের আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করার শামিল।
[৪] বক্তারা বলেন, মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। পাকিস্তান মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিলো। বাংলার দামাল ছেলের মায়েরা ভাষা রক্ষা করেছে জীবন দিয়েছেন। ইসলামের দিক থেকে মাতৃভাষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ইসলামের বিধান উপেক্ষা করে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাদের এই অপপ্রয়াস চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাভাষীরা গড়ে তুলেন তীব্র আন্দোলন।
[৫] এতে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, মানবাধিকার সংগঠক মঞ্জুর হোসেন ইশা, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম, রাহাত হুসাইন প্রমুখ।