কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] ঢাকায় ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি’র নেতৃতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।
[৩] দিবস উপলক্ষে ভিডিও বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, বাংলা ভাষা আন্দোলন সারা বিশ্বের মানুষের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
[৪] বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাশ ও মিশনগুলোতে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
[৬] দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
[৭] দূতাবাস মিলনায়তনে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনার বেদীতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রদূতদের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুস্পাস্তবক অর্পণ করেন। পরে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক ও অন্যান্য অতিথিরা প্রভাতফেরীর মাধ্যমে শহীদ মিনার বেদীতে পুস্পাস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
[৮] অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য তুলে ধরে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
[৯] মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চের উদ্যোগে জাতিসংঘের সামনে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।