শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২০ দুপুর
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ: ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদান

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ  সামাদ: সালাম, রফিক, বরকত. শফিউরসহ সকল ভাষা শহিদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আমাদের স্মরণে রাখতে, ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে ভাষার সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তাতে ভাষার অধিকারের সঙ্গে আমার সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের কথা যুক্ত ছিলো। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের সকল সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে, যা পূর্ণতা লাভ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে। শুধু বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় নয়, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ভাষা শহীদদের আত্মোৎসর্গ অনুপ্রেরণা কাজ করেছে।

তাই, তাদের অবদান অস্মিরণীয়। ভাষা শহিদদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৪৮ সালে ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর পূর্ব বাংলায় বঙ্গবন্ধু রাজনীতি আরম্ভ করেন ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করে। সারা পূর্ব বাংলা সফর করে ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু ফজলুল হল থেকে ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে হরতাল ঘোষণা করেন। হরতালে অনেক নেতাকর্মী আহত হন। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন।

১৯৫২ সাল পর্যন্ত ১১ মার্চ ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বন্দী অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্ত নেন। ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে গুলি হলে ঘটনাস্থলে রফিক শহিদ হন এবং অনেকে আহত হন। অইদিনই হাসপাতালে বরকত ও জব্বার মারা যান; পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন শফিউর, অহিউল্লাহ ও আব্দুল আউয়াল এবং সালাম এপ্রিলে মারা যান। সারা দেশে ভাষা আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিচারের দাবিতে বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন করেন। কাজেই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনন্য।

কোন ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নির্ভর সেই ভাষার ব্যবহারের পরিধির ওপর। সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ইংরেজি, স্ফ্যানিশ বা ফরাসি ভাষা যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেভাবে বাংলাসহ অন্য ভাষাগুলোর ব্যবহার নেই। একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায় করলেই সেটা ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য করা সমীচীন হবে বলে মনে হয় না। অফিসে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এটা আশার কথা। আদালতে সেটা কম। তবে আমি ভাষার শুদ্ধ ও বিস্তৃত চর্চা চাই। সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহারের জন্য সরকার ও নাগরিক সমাজকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। মানুষের মধ্যে একুশের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। ভাসার প্রতি ভালোবাস ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করতে হবে।

লেখক : উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়