আবদুল আলী:[২] কলা রোয়ে না কেটোপাত তাতে কাপড় তাতে ভাত এ শ্লোগান বাস্তবায়নের অন্যতম জনপদ পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা ও মাটিরাঙ্গা।সময়ের সাথে সাথে ‘পাহাড়ে কলা চাষে অর্থনেতিক স্বচ্ছলতার পথে হাঁটছে চাষিরা’। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদ থেকে দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বিপুল পরিমাণ কলা বিক্রি হয় খাগড়াছড়ির জেলার মাদার মার্কেট বলে খ্যাত গুইমারা বাজারে।
[৩] পাহাড়ে চাষীদের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত কলা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ সমতলের বিভিন্ন জেলায়। এখানে সাপ্তাহিক হাটের দিন শনি ও মঙ্গলবার বেচাকেনা হয় লাখ লাখ টাকার কলা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কলা ব্যাবসায়ীদের পদচারণায় মুখরিত গুইমারা বাজার। ১৫ ফেব্রুয়ারী গুইমারা বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় কলার হাট হিসেবে পরিচিত গুইমারা ও মাটিরাঙ্গা বাজার।
[৪] এসব বাজার থেকে স্থানীয় পাইকারদের হাত ধরে এসব পাহাড়ি কলা ট্রাক ও পিকআপে বোঝাই করে ফেনী, কুমিল্লা,নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাম্মনবাড়ীয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় শহরে নিয়ে যান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।আবাহাওয়া ও মাটির উর্বরতার ফলে পাহাড়ে দেশীয় কলাচাষের উপযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। পার্বত্যাঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশি কলার চাষ বাড়লেও বাড়েনি কলা চাষে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
[৫] দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সঠিক সময়ে বাজারজাতকরণের অভাবে উপযুক্ত দাম মেলে না।পরিবহন সুবিধার জন্য রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হলে কলা বাজারজাত আরও সহজতর হয়ে উঠত বলে মনে করেন চাষিরা।জানা গেছে, পাহাড়ে মাটিভেদে বিভিন্ন জাতের কলার আবাদ হয়। এর মধ্যে দুই জাতের কলার আবাদ হতে দেখা যায়। একটি দেশি জাতের বাংলা কলা আর অন্যটি চম্পা কলা। বাংলা কলা ও চম্পা কলা ছাড়াও সরবি ও সাগর এবং সূর্যমূখী কলার আবাদ হয় এখানে।
[৬] এ এলাকায় কলা আবাদে কীটনাশক ব্যবহার হয় না বললেই চলে। কলা এমনিতেই পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল। তার ওপর বালাইনাশক ব্যবহার না হওয়ায় এ এলাকার কলা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। সারাবছর এসব কলার ফলন পাওয়া গেলেও আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে ফলন মেলে সবচেয়ে বেশি। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :