মুনশি জাকির হোসেন: সরকারি-বেসরকারি, কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানি প্রতিটি ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তে আসতে সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ যে বিষয়টি বিবেচিত হয় সেটি হলো তথ্য এবং পরিসংখ্যান। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখার পেছনে সেই তথ্য এবং পরিসংখ্যান কী? এই সিদ্ধান্তের পেছনের ড্রাইভিং ফোর্স কী? ইউকেতে কোভিড-১৯ এর ফলে মৃতের সংখ্যা লাখ অতিক্রম করেছে গত মাসেই। এর মাঝেও এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এখানে লকডাউন দেওয়ার পূর্বে সংক্রামণের হার, ঝুঁকির হার, হাসপাতালের সক্ষমতা, লকডাউনের ফলে কী কী অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব ক্ষতি হতে পারে তার সকল বিষয়ই পূর্বাপর বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিলো, এখনো হচ্ছে। এখানকার লকডাউন ধারণা বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
এলাকাভিত্তিক লকডাউন, রেড জোন, টিয়ার সিস্টেম আর ধারণা, পুরো দেশ লকডাউন এবং এর মধ্যেই জরুরি পরিষেবা কী কী, সেগুলো কীভাবে চলবে। সবই ছিলো। না মানলে কি পরিণতি সেটাও পরিষ্কার করা আছে। এমনকি এক গোরস্তানে গিয়ে পুলিশ ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে। বাংলাদেশে এমন অনেক উপজেলা আছে যেখানে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি নেই। এর পরে আছে ইউনিয়ন লেভেল। অনেক ইউনিয়ন আছে যেখানে জেলা শহরের সঙ্গে তেমন যোগাযোগই নেই। এমনও হতে পারতো, ইউনিয়ন পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখা যেতো। কোথাও কোনো সংক্রামণ ধরা পড়লে সেখানে লকডাউন করা যেতো। গ্রামীণ জনপদে স্কুলগুলো বন্ধ হওয়ার পরিণতি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে না আছে তথ্য, না আছে পরিসংখান। ফেসবুক থেকে