মাহিন সরকার: [২] বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে যে নামটা ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িত তিনি হলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। যাকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের ফাইটার। তার কথা বললেই আপনার প্রথম যে ঘটনা মনে আসবে সেটি হয়ত ১৯৯৯ বিশ্বকাপ। যেখানে ব্যাটে-বলে দারুণ ভূমিকা রেখে বাংলাদেশকে জেতাতে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন।
[৩] সেই সময় কিংবা খালেদ মাহমুদের পুরো ক্যারিয়ারে কখনো তাকে স্পিন বোলিং, ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়ে নামতে দেখা যায়নি। কিন্তু হঠাৎ ৪৯ বছর বয়সে সুজন যখন খেলতে নামলেন পেসার থেকে কি না হয়ে গেলোন স্পিনার ! আবার ব্যাট হাতে নামলেন ওপেনিংয়ে !
[৪] হ্যা এমনটাই ঘটেছে। অনেক আগেই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো সুজন আজ কক্সবাজারে খেলতে নামেন সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে। ১০ ওভার ১০ বলের এই টুর্নামেন্টে আজ বাহাতি ব্যাটসম্যান পেয়ে অফ স্পিনার হয়ে যান। পেয়েছেন সাফল্যও।
[৫] এক্সপো রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করা সুজন অফ স্পিনে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন জা’দুবে স্টার্সের ব্যাটসম্যান হুমায়ন কবিরকে। পরের ওভার আবার পেস বোলিংয়ের চেষ্টা করেন সুজন। সেখানেও সাফল্য পান। সব মিলিয়ে ২ ওভার বোলিংয়ে ৮ রানে ২ উইকেট নেন সুজন। সাথে দারুণ একটি ক্যাচও নিয়েছেন তিনি।
[৬] ফিল্ডিং, বোলিংয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের আগে ওপেনার হিসেবেও তাকে খেলতে দেখা যায়। যেখানে লেজের ব্যাটসম্যান হিসেবে সবসময় লড়াইয় করে যাওয়ায় তাকে ফাইটার সুজন বলা হয় সেখানে ওপেনিংয়ে নামেন তিনি। ব্যাট হাতেও খুব খারাপ করেননি। ৯ বলে ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে করেন ১৩ রান।
[৭] তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের দিনে তার দল এক্সপো রাইডার্স ৫৫ রানের জয় পায়। - স্পোর্টস জোন
আপনার মতামত লিখুন :